বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে বছরের যে কোনো সময়েই হাঁপানি সমস্যা বাড়তে পারে। এই রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত।তবে কিছু প্রাকৃতি উপাদান রয়েছে, যা দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে আপনি এ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারেন।
আসুন জেনে নিই কী করবেন?
১. হাঁপানি সমস্যায় খেতে পারেন মধু। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারলে শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। হাঁপানি ছাড়া সর্দি-কাশিতেও এই মিশ্রণ খুবই উপকারী।
২. এক টুকরো আদা পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এর পর ঠাণ্ডা করে খেয়ে নিন। শুধু হাঁপানি নয়, সর্দি-কাশির সমস্যাও উপকার পাবেন।
৩. এক কাপ দুধের মধ্যে ৪ কোয়া রসুন ফেলে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে খেয়ে নিন। ফুসফুসের যে কোনো রোগ তা খুবই উপকারী।
৪. পাতিলেবুর রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এক গ্লাস পানির মধ্যে একটা গোটা পাতিলেবুর রস আর সামান্য চিনি দিয়ে প্রতিদিন খেলে হাঁপানির কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। ৫. পেঁয়াজ আমাদের নাসাপথকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্ট দূর করতে কাটা পেঁয়াজ খেয়ে দেখতে পারেন।
৬. হাঁপানি সমস্যায় ল্যাভেন্ডার তেল খুবই কার্যকরী। ১ কাপ গরম পানির মধ্যে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল ফেলে ধীরে ধীরে ভেপার (ভাপ) নিন। দ্রুত উপকার পাবেন।
ঘরোয়া এসব উপাদান আপনাকে এই সমস্যা থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি দিতে পারে। সমস্যা জটিল হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কি প্রভাবিত হয়?
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, যা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে।
হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কী সমস্যা হয়?
অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিদের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রেও নানান জটিলতা রয়েছে। এসব ব্যক্তির শরীরে টিউব বা ভেন্টিলেটর প্রবেশ করাতে অনেক সময় সমস্যা তৈরি হয়।
এ ছাড়া বেশি ওজনের রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করার জন্য উপুড় করে শোয়ানোর ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়েন চিকিৎসকরা।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৮ মে ২০২০/এমএম





