Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ৯০০ বর্গমিটার আয়তনের এলাকার মধ্যে ২৬৬ বর্গমিটার বিল্ট আপ এলাকায়সহ চারতলা ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। ০৯ ফেব্রুয়ারি ভবনটি উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। একইদিন অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবু জাফর কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের নতুন ভবনে ওপেন হাউজ ডে-এর আয়োজন করা হয়।

০৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রথমেই দূতাবাসের নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন। এরপর দূতাবাসের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হলেরও উদ্বোধন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিকেল সাড়ে চারটায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. তারাজুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং ক্রয়কৃত নতুন দূতাবাসের ইতিহাস ও বিভিন্ন অংশের বর্ণনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আবু জাফর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রদূত।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও উন্নয়নের ফলেই আজকে আমাদের এই নিজস্ব ভবন ক্রয় করা ও উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে। আজ থেকে আমাদের ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে আরো একটি অংশ যুক্ত হলো আমাদের এই দূতাবাসটি।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নের্তৃত্বের গুণেই বিশ্বে চল্লিশতম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানের শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ