Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের প্রিন্স রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা অবিলম্বে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিক্ষেপ করার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় গেস্ট অব অনার ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদের (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন বাদল এবং অধ্যাপক শওকত আলী।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূঁইয়া, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু তাহের, কাজী আছাদ উল্লাহ, ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদ’ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন রাজু, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমিন নাসির, শেখ হায়দার আলী, মীর মশিউর রহমান, রাশিদা আহমেদ মুন, আলমগীর মৃধা, শেখ কাইয়ুম, আনোয়ার হোসেন, জাফর ফারাজি, তাহমিনা আকতার, নিউ জার্সি স্টেট বিএনপির সভাপতি নূরল ইসলাম খসরু ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।

কেন্দ্রীয় জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান বলেন, ‘ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাঙ্গা হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন রাজপথে বেগবান হচ্ছে। সেই পথ বেয়েই বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন বাদল বলেন, ‘সিনেট-কংগ্রেস ও জাতিসংঘে বিএনপির পক্ষে দেন-দরবারে গিয়ে বিব্রত হতে হচ্ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির সাংগঠনিক কোন পরিচয় নেই। আট বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি ভেঙে দেয়ার পর এক অদৃশ্য কারণে নতুন কমিটির অনুমোদন এখনও আসেনি। এভাবেই প্রবাসের নেতা-কর্মীদেরকে স্থবিরতায় ঠেলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে আন্দোলন বেগবান করা যাচ্ছে না।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২১ জানুয়ারি ২০২০ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ