প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: শীতকাল এলে আমাদের দেশে খেজুর গুড়ের এক বিশেষ সমাহার দেখা যায়, আর আখের গুড় তো সারাবছরই পাওয়া যায়। পিঠাপুলি, নাড়ু-মোয়া সহ নানা ধরনের খাবারে গুড়ের ব্যবহার অনেক জনপ্রিয়। কেউ কেউ আবার চায়ের সঙ্গে চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। রোজার সময়ে গুড়ের শরবত ছাড়া অনেকেই ইফতার পূর্ণ মনে করেন না।তবে গুড় যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, এটি বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা নিয়ে আসে, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, রাতে ঘুমানোর আগে গুড়ের শরবত খেলে হজমশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি: গুড় শরীরের হজম কার্যক্রম উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হালকা ডিউরেটিক হিসেবে কাজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ও রাতের খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে।
ভালো ঘুম: গুড়ের মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম (১০০ গ্রামে প্রায় ৭০–৯০ মিগ্রা) পেশি ও স্নায়ু শিথিল করে। নিয়মিত গুড়ের শরবত খেলে ঘুম ভালো হয় এবং ঘুম থেকে উঠে সতেজ অনুভূতি হয়।
লিভারের ডিটক্স: গুড় শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে, যার ফলে লিভারের ওপর চাপ কমে এবং সকালে ক্লান্তি অনুভূতি কম হয়।
খনিজের ঘাটতি পূরণ: গুড়ে উপস্থিত আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরের খনিজের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে, ফলে শক্তি বাড়ে এবং ক্লান্তি কমে।
হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি: গুড় আয়রনের একটি প্রাকৃতিক উৎস, যা নিয়মিত খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূর্ণ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: গুড়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, যার ফলে সাধারণ অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ৩০ নভেম্বর ২০২৫ /এমএম





