প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: শীতের মৌসুম মানেই বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল ও খাবারের কদর। আর সেসবের মধ্যে বাদাম বা চিনাবাদাম সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সাশ্রয়ী। অনেকেই মনে করেন, বাদাম খাওয়ার পর পানি পান করলে গলায় খুসখুস বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।তবে চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের উদ্বেগ খুব একটা গুরুতর নয়, বরং এটি বেশি সতর্কতা মাত্র।
বড়দের অনেকে সতর্ক করে বলেন, চিনাবাদাম খাওয়ার পরপরই পানি পান করলে গলাব্যথা বা কাশি হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সীমিত, চিকিৎসকরা বলেন—বাদামের প্রাকৃতিক তেল ও এর শুকনো স্বভাব পানি পান করার সঙ্গে মিশে সামান্য অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। তাই যারা এড়িয়ে চলতে চান, তাদের জন্য এটি কেবল একটি সরল সতর্কতা, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি নয়।
চিনাবাদামের স্বাস্থ্য–উপকারিতা
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
চিনাবাদাম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে
শীতের নাস্তা হলেও চিনাবাদামে ক্ষতিকর চর্বির পরিমাণ তুলনামূলক কম। এতে থাকা প্রোটিন ও আঁশ দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, ফলে পরিমিত মাত্রায় খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
উৎকৃষ্ট প্রোটিনের উৎস
প্রতি ১০০ গ্রাম চিনাবাদামে প্রায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা দেহের বৃদ্ধি ও সার্বিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পিনাট বাটারও একইভাবে সহজে পাওয়া প্রোটিনের উৎস হিসেবে কার্যকর।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
চিনাবাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, ফলে এটি ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি ঘটায় না। তাই সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে ডায়াবেটিস রোগীরাও এটি নিরাপদে খেতে পারেন।শীতকালীন সস্তা ও পুষ্টিকর নাস্তা হিসেবে চিনাবাদাম তাই শুধু সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৪ নভেম্বর ২০২৫ /এমএম





