Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন এবং জনপ্রিয় খাবার খিচুড়ি। বিশেষ করে মেঘলা কিংবা বৃষ্টির দিনে বাঙালি বাড়িতে খিচুড়ির গন্ধ এক ধরনের উৎসবের আমেজ তৈরি করে। তবে এই সুস্বাদু খাবারটি শরীরের জন্য কতটা উপকারী?ভারতীয় পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ জানিয়েছেন, খিচুড়ি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি খাবার।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ বলেছেন, খিচুড়িকে শুধুমাত্র ডাল-ভাতের মিশ্রণ হিসেবে ভাবা ভুল হবে। আয়ুর্বেদে এটি একটি শক্তিশালী ‘হিলিং ফুড’ হিসেবে পরিচিত। যা শরীরের ভেতর পরিষ্কার রাখে। এই খাবারটি শরীরের তিনটি মূল দোষ—বাত, পিত্ত এবং কফ—এগুলোর ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সহজপাচ্য খাবার

মুগডাল এবং চাল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি খুব সহজে হজম হয়। বিশেষ করে পেটের সমস্যা বা দুর্বল হজমশক্তি থাকলে এটি দ্রুত শক্তি দেয় কিন্তু পেটে চাপ ফেলে না।

ডিটক্সে সহায়ক

ঘি, আদা, হলুদ এবং জিরা দিয়ে তৈরি গরম খিচুড়ি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে শরীর হালকা অনুভূত হয় এবং পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর

খিচুড়িতে মুগডালে প্রোটিন, ভাতে কার্বোহাইড্রেট এবং ঘিতে হজমে সহায়তা করা উপাদান থাকে। অসুস্থতার পর এটি দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে দেয়। এছাড়া, মৌসুমি সবজি বা হার্বস যোগ করলে পুষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ানো যায়।

খিচুড়ি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির বড় একটি অংশ প্রদান করে, এটি ঠান্ডা রাখে, টক্সিন দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। তাই বাইরে থেকে না কিনে ঘরে তৈরি খিচুড়ি খাওয়া বেশি উপকারী।

খিচুড়ি কোনো আধুনিক ট্রেন্ড নয়। বরং এটি একটি প্রাচীন জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত পুষ্টিকর খাবার, যা পেটের সমস্যা, ক্লান্তি বা বিশ্রামের দিনে আদর্শ খাবার হতে পারে। তাই বৃষ্টি বা রোদ যেমন আবহাওয়া-ই থাকুক না কেন, পরিবারসহ পুষ্টিতে ভরপুর এই খিচুড়ি খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৫ নভেম্বর  ২০২৫ /এমএম

 


Array