প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: সহজ কয়েকটি উপায়ে ছাত্রজীবন থেকেই আয়ের কথা ভাবুন। কেবল পড়ালেখার সময় কিংবা বর্তমান সময়ে এটি একসঙ্গে দক্ষতা অর্জন ও আত্মনির্ভরশীল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়ও বটে। আর দিন দিন বাড়ছে পড়াশোনার খরচ, টিউশন ফি, আবাসন ব্যয়—এ অবস্থায় অনেক শিক্ষার্থীই খুঁজছেন আয় করার সহজ ও কার্যকর উপায়।আর ছাত্রজীবনে আয় করা এখন কেবল প্রয়োজন নয়; বরং আত্মনির্ভরতা, আত্মবিশ্বাস ও ক্যারিয়ার গঠনের অন্যতম অংশ।
আপনার আগ্রহ ও দক্ষতা অনুযায়ী ওপরের যে কোনো একটি বা একাধিক উপায় বেছে নিলে ছাত্রজীবন যেমন হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের জন্য তৈরি হওয়া আরও সহজ হবে।একদিকে ক্লাস, অন্যদিকে সীমিত সময়—তাই এমন কিছু উপার্জনের পথ দরকার, যা সহজ, বাস্তবসম্মত এবং শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এমন কয়েকটি উপায়, যেগুলো বাস্তবসম্মত, পরীক্ষিত এবং একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি খুব সহজেই আয় করতে পারেন।
১. টিউশনি করে আয়
ছাত্রজীবনের শুরুতে আয় করার সবচেয়ে পরিচিত ও নিরাপদ মাধ্যম হলো— টিউশনি। আপনি যদি কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষ হন, তাহলে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীকে পড়িয়ে মাসে তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। এতে আপনার পড়ালেখার খরচ মেটার পাশাপাশি নিজের দক্ষতাও গভীরে পৌঁছে যাবে।
এ ছাড়া কোচিং সেন্টারেও শিক্ষকতা করে আয় করা সম্ভব। নিজের সাবজেক্টে দক্ষতা থাকলে কোচিং সেন্টারে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করে ভালো আয় করা যায়। অনেকেই এখান থেকে শিক্ষকতার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
২. পার্টটাইম চাকরি করে আয়
আপনি চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরি করতে পারেন। ক্যাম্পাসের আশপাশে দোকান, কফিশপ কিংবা লাইব্রেরিতে দিনে ২–৪ ঘণ্টা কাজ করে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এতে সময় ব্যবস্থাপনা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা তৈরি হবে।
৩. ফ্রিল্যান্সিং
আপনি চাইলে ঘরে বসেই স্বাধীন উপার্জন করতে পারেন। আপনার কম্পিউটার ও ইন্টারনেট থাকলে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে দুর্দান্ত মাধ্যম। Fiverr, Upwork-এর মতো প্ল্যাটফর্মে কাজ শিখে গ্রাফিক ডিজাইন, ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট লেখা ইত্যাদিতে মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া Canva, Photoshop বা Illustrator ব্যবহার, লোগো, ফ্লায়ার ডিজাইন করে অনলাইনে ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া সম্ভব। নিজের ডিজাইন পোর্টফোলিও থাকলে ক্লায়েন্ট পাওয়া সহজ হয়।
৩. কনটেন্ট রাইটিং
আপনার লেখালেখির প্রতি ঝোঁক থাকলে— ব্লগ, নিউজ পোর্টাল কিংবা ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করতে পারেন। প্রতি লেখায় ২০০–৫০০ টাকা কিংবা তারচেয়েও বেশি পাওয়া যায়।
৪. হোমমেড পণ্য বিক্রি
আপনি চাইলে নিজের তৈরি জিনিস বিক্রি করে আয় করতে পারেন। এই যেমন— চকলেট, কেক, পিঠা, হ্যান্ডক্র্যাফট, পুঁতির গহনা ইত্যাদি তৈরি করে বন্ধুবান্ধব কিংবা স্থানীয় দোকানে বিক্রি করে সহজে আয় করতে পারেন। এতে ছাত্রজীবনেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
৫. ফটোগ্রাফি
আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করেও উপার্জন করতে পারেন। ভালো ক্যামেরা কিংবা মোবাইল থাকলে ছবি তুলে বিভিন্ন ইভেন্টে আয় করা যায়। ছবিগুলো Lightroom বা Canva দিয়ে এডিট করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিলে আরও ক্লায়েন্ট পাওয়া সম্ভব।
৬. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইভেন্টে রেজিস্ট্রেশন, স্টেজ ডেকোরেশন, অতিথি সেবা ইত্যাদির মাধ্যমে অংশগ্রহণ করে পারিশ্রমিকসহ মূল্যবান অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। এতে ভালো আয় করা সম্ভব হয়।
৭. জরিপ ও প্রজেক্টভিত্তিক কাজ
এনজিও কিংবা সরকারি গবেষণা প্রকল্পে ডেটা সংগ্রহ, প্রশ্নপত্র বিতরণ, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি কাজে অংশ নিয়ে প্রতিদিন ৫০০–১,৫০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০১ নভেম্বর ২০২৫ /এমএম





