Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: অনেকেই ভাবেন, জলপাইয়ের মতো টকজাতীয় ফল শুধু নারীরাই খান। পুরুষের জন্য জলপাই খাওয়া ঠিক নয়। এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। ছোট্ট এই সবুজ মৌসুমি ফলটি সবার জন্যই এক অনন্য পুষ্টির উৎস। কারণ জলপাইয়ে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া আমরা জলপাই কমবেশি সবাই পছন্দ করি। আর জলপাইয়ে আছে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ আরও অনেক উপাদান। আবার অনেকে শুধুই জলপাইয়ের আচার খান। আর জলপাই শুধু আচার নয়—সালাদ, স্মুদি হিসেবেও খাওয়া যায়। আবার জলপাই তেল বা অলিভ ওয়েল রান্না বা সালাদ ড্রেসিংয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত তেল বা নোনতা আচারে জলপাই খাওয়া ঠিক নয়। কারণ জলপাইয়ের আচার কিংবা প্রিজার্ভডেতে অনেক সময় অতিরিক্ত লবণ বা ভিনেগার থাকে, যা উচ্চরক্তচাপের রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, জলপাই আপনার শরীরের কতটা উপকারে করে—

প্রথমত: জলপাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। কারণ জলপাইয়ে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা ‘ভালো ফ্যাট’ হিসেবে পরিচিত। গবেষকরা বলছেন, এ ফ্যাট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত জলপাই খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

দ্বিতীয়ত: শরীরে প্রদাহ কমিয়ে দেয় জলপাই। ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ের পলিফেনল ও ওলিওকান্থাল নামে যৌগগুলো প্রদাহবিরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এগুলো শরীরে জমে থাকা ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে এবং কোষের ক্ষয়রোধে সহায়তা করে থাকে।

তৃতীয়ত: আর জলপাই ত্বক ও চুলের যত্নে বেশ কার্যকরী। কারণ জলপাইয়ে থাকা ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে থাকে। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত জলপাই খেলে বা জলপাই তেল ব্যবহার করলে চুল শক্ত, মজবুদ ও উজ্জ্বল হয়।

চতুর্থত: হজমে সহায়তা করে জলপাই। জলপাইয়ে আছে প্রাকৃতিক ফাইবার, যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়। ফলে হজম শক্তি বাড়ে।

পঞ্চমত: আবার জলপাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। ‘জার্নাল অব ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাইয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। এতে ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়, যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৬ অক্টোবর  ২০২৫ /এমএম

 


Array