প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: শরীর রোগমুক্ত রাখতে প্রদাহ জরুরি। তবে সেই প্রদাহ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় কিংবা বেশি পরিমাণে হয়, তখনই মুশকিল। তবে ইনফ্ল্যামেশন কিংবা প্রদাহ কমানোর কথা বলেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা।প্রদাহ বাড়লে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর পেশিতন্তু, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ— এমনকি রক্তনালিরও ক্ষতি হতে পারে শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়লে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে শরীরে নানা ধরনের ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, পেশির টানের মতো সমস্যা হতে পারে।
প্রদাহ থেকে দূরে রাখবে যে খাবার—
শাক
সবুজ শাকপাতা বা পালংশাকে রয়েছে ফেনোলিক উপাদান, ক্যারেটিনয়েডস এবং নাইট্রেট, যা অতিরিক্ত প্রদাহ কমিয়ে আনে। এর পাশাপাশি শরীরকে দূষণমুক্ত করতেও সাহায্য করে।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকিউমিন হলো অত্যন্ত জোরালো একটি প্রদাহনাশক উপাদান, যা অস্থিসন্ধিসহ অন্যান্য ব্যথা এবং আড়ষ্ট ভাব কমাতে সাহায্য করে।
আদা
আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল নামে জৈব সক্রিয় উপাদান। শুকনো আদায় আবার থাকে শোগাওল নামে আরেক ধরনের জৈব সক্রিয় উপাদান, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মুক্ত করে। দূষিত পদার্থও শরীর থেকে বার করে দিতে সাহায্য করে।
বেদানা চেরি ও কালো আঙুর
গাঢ় রঙের খাবারে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি এবং অ্যান্থোসায়ানিন, যা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি শরীরকে দূষণমুক্ত করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রদাহ কমাতে পারে বাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট, চিনাবাদামে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।
গ্রিন টি
এতে রয়েছে পলিফেনল ও এপিগ্যালো ক্যাটেসিন গ্যালেট। এ উপাদান প্রদাহ কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।
কফি
কফিতে আছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিনের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে প্রদাহ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৪ অক্টোবর ২০২৫ /এমএম