Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::  ফ্রিজে গরম ও আর্দ্রতায় ভরা খাবার দ্রুত ফাঙ্গাসের শিকার হয়ে যায়। আর কিভাবে করলে ফাঙ্গাসে নষ্ট হবে না খাবার, থাকবে অক্ষত, জানা জরুরি। যদিও আজকের ডিজিটালযুগে গৃহিণীরা ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষণ কৌশলকে নতুন করে গ্রহণ করেছেন। এ কৌশলগুলো শুধু খাবারের সতেজতা বজায় রাখে না; বরং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি রোধ করে থাকে। আর পরিবেশবান্ধব উপায়ে সংরক্ষণ নিশ্চিত করে।ইউএনএফএওর একটি রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি বছর ৩০-৪০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন নষ্ট হয় অপর্যাপ্ত সংরক্ষণের কারণে। এ সমস্যা সমাধান করতে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে লাখ লাখ পরিবার খাবারের বর্জ্য কমাচ্ছে।

আর রান্নাঘরের প্রথম রহস্য হলো শুকানোর কৌশল। আমাদের পূর্বপুরুষরা ফল, সবজি ও মাছ-মাংস শুকিয়ে সংরক্ষণ করতেন, যা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করে। আর আজকালকার গৃহিণীরা সবজিগুলোকে কাপড়ে মুড়ে হাওয়ায় শুকান এবং এরপর সিল করা জারে রাখেন। এ পদ্ধতিতে পানির পরিমাণ কমিয়ে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি বন্ধ করে।

গ্রীষ্মকালে সবজি কেনার পর ধুয়ে শুকিয়ে এয়ারটাইট জারে রাখুন। এতে গ্লাসের জারগুলো ইকো-ফ্রেন্ডলি এবং খাবারের সতেজতা বজায় রাখে। বর্ষাকালে ফ্রিজারে শস্য ও ডাল দুদিন রাখুন—এটি কীট ও ফাঙ্গাসের ডিম ধ্বংস করে। এই ঐতিহ্যবাহী কৌশলগুলো শুধু খাবার রক্ষা করে না, বরং পরিবেশ রক্ষা করে। আধুনিক ফ্রিজের পরিবর্তে মাটির কলসি বা ধাতুর পাত্র ব্যবহার করে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমান।

এ কৌশলগুলো শুধু স্বাদ রক্ষা করে না, বরং খাবারের পুষ্টিগুণও অটুট রাখে। আর শাকসবজি ও সবুজের সংরক্ষণে কাপড়ের ব্যবহার একটি সাধারণ কিন্তু কার্যকরী রহস্য। ধনেপাতা কিংবা পুদিনাপাতাগুলোকে ভেজা কাপড়ে মুড়ে রাখুন। এটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করে। সেই সঙ্গে সবজিগুলোকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। আর প্রতি সপ্তাহে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন, যাতে কোনো অবশিষ্ট খাবার ফাঙ্গাসের জন্মস্থান না হয়।

এ ছাড়া বর্ষায় মসলা পাউডারগুলোকে নিমপাতা বা শুকনো লংকার টুকরোর সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন। কারণ এ প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ফাঙ্গাস ও কীটপতঙ্গ দূরে সরিয়ে দেয়। আর মসলা কেনার পর প্রথমে ফ্রিজারে দুদিন রাখুন,যাতে কোনো ডিম বা ছত্রাকের বীজ ধ্বংস হয়। এরপর এয়ারটাইট কনটেইনারে স্থানান্তর করুন। এ কৌশল দিয়ে আপনার মসলা মাসের পর মাস সতেজ থাকবে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৯ সেপ্টেম্বর  ২০২৫ /এমএম


Array