Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ওয়ার্কআউট বা ব্যায়ামের আগে সঠিকভাবে খাবার খেলে তা শরীরকে যথাযথ শক্তি সরবরাহ করে। কার্বোহাইড্রেট তাৎক্ষণিক শক্তির উৎস, আর প্রোটিন পেশির কার্যকারিতা ও পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। সঠিকভাবে মিলিয়ে খেলে এই পুষ্টিগুলো রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে, স্ট্যামিনা বাড়াতে এবং ব্যায়ামের সময় ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—হজমে সহজ এবং দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেওয়া এমন খাবার বেছে নেওয়া, যা শরীরে অস্বস্তি সৃষ্টি না করে। নিচে এমন ৯টি খাবারের কম্বিনেশন দেওয়া হলো, যা ওয়ার্কআউটের আগে শক্তি বাড়াতে কার্যকর।

ওয়ার্কআউটের আগে শক্তি বাড়ানোর ৯টি সেরা খাবারের কম্বো:

১. কলা + পিনাট বাটার (চিনাবাদামের মাখন)

কলা দ্রুত হজম হওয়া কার্বোহাইড্রেট ও পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার, যা পেশির কার্যকারিতা ও দীর্ঘস্থায়ী শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। এর সঙ্গে এক চামচ পিনাট বাটার খেলে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি যোগ হয়—ফলে একসঙ্গে পাওয়া যায় ভারসাম্যপূর্ণ শক্তি, যা সহজে ক্ষয়ে যায় না।

২. গ্রীক দই + বেরি ফল

গ্রীক দইয়ে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, যা পেশির শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। বেরিতে থাকে প্রাকৃতিক চিনির দ্রুত জ্বালানি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ব্যায়ামের পর তৈরি হওয়া ফোলাভাব বা প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

৩. ওটমিল + কাঠবাদাম

ওটস ধীরে ধীরে শক্তি ছাড়ে— যা দীর্ঘ সময়ের ওয়ার্কআউটের জন্য আদর্শ। কাঠবাদাম যোগ করলে এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন যুক্ত হয়, যা সকালের ট্রেনিং বা স্ট্যামিনা প্রয়োজন এমন সময়ের জন্য উপযুক্ত কম্বো।

৪. আপেল স্লাইস + পনির

আপেল থেকে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক চিনি ও পানিশূন্যতা রোধকারী উপাদান, আর পনিরে থাকে প্রোটিন ও চর্বি—যা একসঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেয়। হালকা এবং সহজে হজমযোগ্য এই খাবারটি দ্রুত শক্তি প্রয়োজন এমন সময়ের জন্য দারুণ।

৫. হোল-গ্রেইন টোস্ট + অ্যাভোকাডো

হোল-গ্রেইন টোস্ট থেকে পাওয়া যায় ধীরে হজম হওয়া কার্বোহাইড্রেট, আর অ্যাভোকাডোতে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও পটাশিয়াম—যা পেশি ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এটি একটি পুষ্টিকর এবং সকালের মাঝামাঝি সময়ে খাওয়ার জন্য আদর্শ।

৬. রাইস কেক + হুমাস

রাইস কেক সহজে হজমযোগ্য হালকা কার্বোহাইড্রেট দেয়, আর হুমাসে থাকে উদ্ভিজ্জ উৎসের প্রোটিন ও চর্বি। যারা দ্রুত শক্তি পেতে চান কিন্তু খুব বেশি ভারী কিছু খেতে চান না—তাদের জন্য এটি চমৎকার বিকল্প।

৭. ট্রেইল মিক্স (বাদাম + শুকনো ফল)

এক মুঠো বাদাম আর শুকনো ফল মিলিয়ে তৈরি হয় শক্তির একটি ‘বোমা’। শুকনো ফলে থাকে তাৎক্ষণিক জ্বালানি দানকারী প্রাকৃতিক চিনি, আর বাদামে থাকে চর্বি ও প্রোটিন—যা সেই শক্তিকে দীর্ঘস্থায়ী করে। তবে পরিমাণে সতর্ক থাকতে হবে, না হলে অতিরিক্ত ভারী লাগতে পারে।

৮. সেদ্ধ ডিম + হোল-গ্রেইন ক্র্যাকার

ডিম উচ্চমানের প্রোটিন ও কিছু স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস, আর হোল-গ্রেইন ক্র্যাকার থেকে আসে জটিল কার্বোহাইড্রেট। একসঙ্গে তারা হালকা অথচ কার্যকর প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার হিসেবে কাজ করে, যা পেশি গঠনে সহায়তা করে।

৯. কটেজ চিজ + আনারস

কটেজ চিজে থাকে কেসিন প্রোটিন, যা ধীরে হজম হয়ে পেশি মেরামতে সহায়তা করে। আনারস থেকে পাওয়া যায় প্রাকৃতিক চিনি এবং ব্রোমেলেইন নামের এক ধরনের এনজাইম, যা হজমে সহায়তা করে। এটি সুস্বাদু ও কার্যকর প্রি-ওয়ার্কআউট খাবার।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১৮ জুলাই ২০২৫ /এমএম


Array