Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: বেশিরভাগ মানুষই চিকেন বা মুরগির মাংস খেতে ভালোবাসেন। আবার রেড মিট রান্না হতে বেশি সময় লাগে, কিন্তু চিকেন রান্না তুলনামূলক সোজা এবং সময়ও লাগে কম। এছাড়া দাম কম ও সহজলভ্য হওয়াই চিকেন সবাই একটু বেশিই খেয়ে থাকেন।তবে এবার দক্ষিণ ইতালিতে পরিচালিত একটি নতুন গবেষণায় স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রামের বেশি মুরগির মাংস খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

নিউট্রিয়েন্টস-এ প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যান্সারের ঝুঁকি ২.৩% বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন মৃত্যুর ঝুঁকি ২৭% বৃদ্ধি পায়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের এ ঝুঁকি বেশি।তবে, পুষ্টি এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ফলাফলগুলো সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত।মেমোরিয়াল কেয়ার ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের হেমাটোলজিস্ট-অনকোলজিস্ট ড. ওয়েল হার্ব বলেছেন, ‘এটি একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা এবং এটি কার্যকারণ প্রমাণ করে না। ’

চল্লিশের পর বাড়ে প্রোস্টেট ক্যানসার ঝুঁকি, কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রাখা জরুরি
হার্ট সুস্থ রাখা থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা—এই গ্রীষ্মে কেন আম খাওয়া জরুরি?
ক্যান্সার প্রতিরোধের ৭ উপায় তিনি জোর দিয়ে বলেন, মাঝারি মানের মুরগির মাংস খাওয়া মেডেটেরিয়ান ডায়েটের মতো ব্যালান্স ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ফলে ক্যান্সার ও হৃদ্রোগ হওয়ার হার অনেক কম।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, মুরগির মাংসের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলতে পারে এটি রান্নার পদ্ধতি। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্নার পদ্ধতি, যেমন গ্রিল করা বা ভাজা, হেটেরোসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (PAHs) এবং হেটেরোসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (HCAs) এর মতো কার্সিনোজেনিক যৌগ তৈরি করতে পারে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ডায়েটিশিয়ান ক্রিস্টিন কার্কপ্যাট্রিক আরও বলেন, ‘একটি সাধারণ বেকড মুরগির বুকের মাংস রুটিযুক্ত বা অতি-প্রক্রিয়াজাত হিমায়িত মুরগির নাগেটের মতো নয়। প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ। ‘

উভয় বিশেষজ্ঞই বর্তমান খাদ্যতালিকাগত নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে। এতে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ গ্রামের কম মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে চামড়াবিহীন, ন্যূনতম প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং মাঝারি তাপমাত্রায় রান্না করা মাংস।

ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস বা কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের সপ্তাহে ২০০ গ্রাম চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আমিষের যোগানের জন্য খাদ্য তালিকায় আরও মাছ, ডাল এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যোগ করা যেতে পারে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৭ মে ২০২৫ /এমএম