প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: কনকনে শীত হোক কিংবা প্রচণ্ড গরম, পায়ে থাকা চাই জুতসই জুতা। তা না হলে সাজগোজ মাটি। বিশেষ করে গরমে ফুরফুরে থাকতে ফিনফিনে পোশাকের সঙ্গে ফুটওয়্যারও ঠিকঠাক হওয়া প্রয়োজন।
চলুন জেনে নেই, এই গরমে কেমন জুতো পরতে পারেন?
মিউলস
পরনে কুর্তি-লেগিংস থাক কিংবা জিনস-টপ, পায়ে মিউলস মানিয়ে যাবে। যেমন ফ্যাশনেবল দেখতে, তেমনই কমফোর্টেবল। তাছাড়া এ ধরনের জুতা পরার সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হলো পায়ের পাতা ঢাকা থাকে। ফলে রোদে বেরোলেও ট্যান পড়ার বিশেষ ভয় থাকে না।
স্নিকার্স
ইদানীং নতুন কনের পরনে থাকে বেনারসি, পায়ে স্নিকার্স। বোঝা যাচ্ছে যে স্নিকার্সের জনপ্রিয়তা অনেক সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তাই গরমেও পরতে পারেন স্নিকার্স। তাছাড়া স্নিকার্স নিঃসন্দেহে কমফোর্টেবল। যেকোনো ধরনের পোশাকের সঙ্গে বেশ মানানসই।
লেদার স্ট্র্যাপ স্যান্ডালস
পায়ে বাতাস খেলবে এই জুতো পরলে। স্ট্র্যাপ দেওয়া এই জুতাগুলো দেখতে তো শৌখিন বটেই, সেই সঙ্গে আরামদায়কও। শাড়ি, কুর্তা, লং স্কার্ট, র্যাপারের সঙ্গে বেশ ভালো যাবে এই জুতা।
ফ্লিপ-ফ্লপস
গরমের আদর্শ জুতা। ব্যবহারও ঝক্কিহীন। অনায়াসে খোলা এবং পড়া যায়। দেখতেও কি কম স্টাইলিশ? তাই তো এই ধরনের জুতা সবদিক থেকে সুবিধাজনক। বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে মানিয়েও যায়।
লোফার
বুট জুতার মতো দেখতে হলেও লোফার ব্যবহারের সবচেয়ে সুবিধা হলো ফিতা বাঁধার ঝামেলা নেই। একবার এই জুতায় পা গলিয়ে নিলে সারাদিনের মতো নিশ্চিন্ত। এবার অনেকের মনে হতে পারে পা ঢাকা জুতা বলে গরমে কষ্ট হতে পারে। তা কিন্তু নয়। সারা বছর ব্যবহারের জন্য আরামদায়ক এই জুতা। সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেও মানায় এই জুতা।
স্টিলেটো
গরমকাল বলে পার্টি-গেট টুগেদার বন্ধ থাকবে, তা তো হতে পারে না। গরমে পায়ে একটা তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চির স্টিলেটো থাকলে অর্ধেক সাজ সম্পূর্ণ। রূপোলি দুনিয়ার নায়িকাদের পছন্দের স্টিলেটো এখন আমজনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে।
কাউগার্ল বুট
গরমে পায়ে ট্যান পড়ে যাওয়ার ভয় না পেয়ে বরং ব্যবহার করতে পারেন কাউগার্ল বুট। গোড়ালির ওপর থেকে হাঁটুর একটু নীচ পর্যন্ত এই জুতা। এখন যেহেতু মাঝেমধ্যে ঝড়-বৃষ্টির হওয়ায় মনোরম আবহাওয়া থাকছে, ফলে এই জুতো পরা যায়।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৬ মে ২০২৫ /এমএম