প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: আপনি খাবার খাওয়ার পর যখন হাঁটবেন, তখন শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজকে শক্তির জন্য ব্যবহার করে থাকে। আর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য খাবার খাওয়ার পর হাঁটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।সে কারণে খাওয়ার পর হাঁটারও একাধিক উপকারিতা আছে। যার নিজস্ব কিছু সুবিধা রয়েছে। যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি পোড়ে, তাও খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয়, ব্লোটিংয়ের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কার্যকরী ও সহজ শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম হলো হাঁটাহাঁটির অভ্যাস। দিনে নির্দিষ্ট সময় মেনে হাঁটলে ওজন ঝরানো, উৎকণ্ঠা কমানো এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানো কিংবা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। কেউ কেউ খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটেন, কেউ বা খালি পেটে। ভরা পেটে না কি খালি পেটে— কোন অবস্থায় হাঁটলে বেশি উপকার, এই ধন্দ রয়েছে অনেকের মনেই। দুই ধরনের হাঁটাতেই ক্যালোরি পোড়ে। ফলে ওজনও ঝরে। কিন্তু তুলনামূলক আলোচনায় কোনটি জিতবে? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যা বললেন।
দিল্লির পুষ্টিবিদ ফারেহা শনম বলছেন, যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিও’ বলা হয়। আর যখন কেউ খালি পেটে হাঁটেন, সেই সময় খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ পায় না শরীর। তাই বাধ্য হয়ে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট পোড়াতে শুরু করে হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য। সে কারণে শরীর থেকে ফ্যাট কমতে শুরু করে এবং ওজন হ্রাস পায়।
খালি পেটে প্রতিদিন সকালে হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। এ ছাড়া সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই যদি হাঁটতে যাওয়া যায়, তাতে ভিটামিন ‘ডি’ বেশি পরিমাণে পায় শরীর। সেই সময় রোদের তেজও কম থাকে, যা থেকে ভিটামিন ডি-ও ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়।
মেডিসিনের চিকিৎসক তুষার তায়ল বলছেন, হাঁটার সময়ে সঙ্কোচন-প্রসারণের জন্য পেশিগুলো রক্ত থেকে চিনি বা শর্করা গ্রহণ করে। কিন্তু না খেয়ে হাঁটার সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। পেশির শক্তির জোগান দিতে তখন লিভার গ্লাইকোজেনগুলোকে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত করে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৬ এপ্রিল ২০২৫ /এমএম