প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দুপুর ১২টার পর এই বৈঠক শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পাশাপাশি দুই নেতা একান্ত বৈঠকও করবেন। উভয় দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় নতুন মোড় তৈরি করা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো, সংযোগ ব্যবস্থা ও দ্বিপাক্ষিক পরিকাঠামোর উন্নতি, মোংলা বন্দর পরিচালনার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
দুই নেতার বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ১০টির বেশি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই ও নবায়নের ঘোষণাও আসতে পারে। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে এদিন সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ভবনে একটি লাল গালিচা বিছিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা জানান নরেন্দ্র মোদি। এই সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরকে বেস্টন করে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত নিয়ে যায়। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এই সময় ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ শেষে সকাল ১০টার দিকে রাজঘাটে দেশটির স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার নয়াদিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিজেপি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকারপ্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরের প্রথম দিন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বলেন, আপনারা (ভারতীয় ব্যবসায়ীরা) বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করেন। একই দিন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পথে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা দূর করতে সংলাপের আহ্বান জানান।
আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের হীরক জয়ন্তী উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) জন্য একটি নতুন ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান ড. এস. জয়শঙ্কর এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে প্রধানমন্ত্রী সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে বিমসটেকের পরবর্তী বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২২ জুন ২০২৪ /এমএম