বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: প্রথমবারের মতো রোবট সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। রোবটিক্সের ছোঁয়াতেই তারা শেষ করে লাইন ফলোয়ার রোবটের কোডিং। এ ছাড়া ছিল আরডুইনো সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু পর্ব।শিক্ষার্থীরা লাইন ফলোয়ার রোবটের কোডিং শেষ করে রোবটগুলোকে রোবট ট্র্যাকে চালিয়ে দেখিয়েছে। সবশেষে ছিল আন্তঃস্কুল কলেজ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অ্যাক্টিভেশন এবং প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সি’র কিছু প্রাথমিক সেশন।
আগামী ৬-৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অনুষ্ঠিতব্য ২য় বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করবে শিক্ষার্থীরা।বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এ বছরের শুরুতে ‘অবাক কৌতূহলে’ নামে একটি প্রোগ্রাম শুরু করে। যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের হাইস্কুলে পড়ুয়া কিছু মেয়ে জীবনে প্রথমবারের মতো দুই দিনের জন্য ঢাকায় আসে। এ দুই দিনে তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থাপনা ও টেকনোলজি অফিসে ঘুরে বেড়ায়।
এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ডিবিসি টেলিভিশন, নাগরিক টেলিভিশন এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস, কাজী আইটি, গ্রামীণফোন, জুমশেপার ইত্যাদি। এ প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েদের সামনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা।
অবাক কৌতূহলের প্রথম পর্বে পাবনার ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চবিদ্যালয় অংশ নেয় এবং স্কুলের ছাত্রীরা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এক নতুন উৎসাহ নিয়ে গ্রামে ফিরে যায়। বিডিওএসএনের সভাপতি জাফর ইকবালও উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের উৎসাহ দিতে।
পরবর্তীতে এ স্কুলেরই একটা টিম গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত শিশু-কিশোর বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করে পোস্টার ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়। এ স্কুলের ছাত্রীদের বিজ্ঞান বিষয়ে আরও উৎসাহিত করতে বিডিওএসএন এই টেকনোলজি সপ্তাহের আয়োজন করে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯/ এমএম