প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। ৫০ নম্বরে দেড় ঘণ্টায় হবে এই পরীক্ষা। তবে তাদেরকে ১০০ নম্বরেই মূল্যায়ন করা হবে। বাকি ৫০-এর মধ্যে ৪০ নম্বর থাকবে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০ নম্বর থাকবে বৃক্ষরোপণ এবং সপ্তম-নবম শ্রেণিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপরে ১০ নম্বর প্রদান করা হবে। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরে এখন পর্যন্ত পরীক্ষার পরিবর্তে বাড়ির ও ক্লাসরুমে দেওয়া কাজের মূল্যায়নের মাধ্যমেই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত আছে। গত বছরও এই স্তরের শিক্ষার্থীদের একই প্রক্রিয়ায় নতুন শ্রেণিতে তোলা হয়েছিল।
মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা ইতোপূর্বে বাতিল করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের সমাপনী বা পিইসি পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা না হলেও এসব শিক্ষার্থীকে অবশ্য আনুষ্ঠানিক সনদ দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষার পরিবর্তে এখন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি অ্যাসাইনমেন্টের কাজের ওপর মূল্যায়ন করার ব্যাপারে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে চিঠি পাঠিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুরুল আলম রোববার জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে গত বছরের মতোই ‘ফরমেটিভ অ্যাসেসমেন্টের’ (বিকাশমান বা দৈনিক মূল্যায়ন) মাধ্যমে পরের শ্রেণিতে পদোন্নতি দেওয়া হবে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, সংক্ষিপ্ত পরিসরে বার্ষিক পরীক্ষা এবং অন্য নির্ধারিত বিষয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে নতুন শ্রেণিতে তোলা হবে।
প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এদের মধ্যে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থী আছে প্রায় ৫৫ লাখ। ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খুলে দেওয়ার পর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৈনিক স্কুলে আসছে। প্রথম শ্রেণিতে একদিন আর অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসছে সপ্তাহে দুদিন করে। এসব শিক্ষার্থীর বর্তমানে লেখাপড়া শ্রেণিকক্ষেই সেরে ফেলার কৌশল নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা যেদিন ক্লাসে আসে সেদিন পড়ানোর পাশাপাশি বাড়ির কাজ দেওয়া হয়। শিক্ষক তা ফিরতি ক্লাসে যাচাই করেন। এভাবে দৈনিক যে মূল্যায়ন হচ্ছে, এটার ভিত্তিতেই এখন পর্যন্ত পরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত আছে।
আর মাউশি কর্মকর্তারা বলছেন, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাবোর্ডের আদলে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পূর্ণমান হবে ৫০। এর সঙ্গে বছরব্যাপী তাদেরকে দেওয়া অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। এই দুটির ফলের ভিত্তিতে মেধাতালিকা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও একইভাবে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন হবে। সব শ্রেণিতেই বাংলা, ইংরেজি এবং গণিত এই তিন বিষয়ে পরীক্ষা হবে। কোভিডকালীন স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্ন কতটা মেনে চলছে সেটার ওপর ১০ নম্বরে মূল্যায়ন করা হবে সপ্তম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। আর ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এবার যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছিল, সেটার জন্য ১০ নম্বরে মূল্যায়িত হবে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ০৮ নভেম্বর ২০২১ /এমএম