Menu

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, বিশেষ করে এ ব্যাপারে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখা। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে প্রগতিশীল সরকার ক্ষমতায়। অথচ তাদের আমলে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হলে রামু, নাসিরনগর, রংপুর ও ভোলার ঘটনা ঘটতো না।

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নত এক দেশ হিসাবে পরিচিত। অথচ সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা বাংলাদেশের ইমেজকে নষ্ট করছে। এটা মোটেও কাম্য নয়। আমরা যে যেই ধর্মের হই না কেন দিন শেষে আমরা বাংলাদেশি। তারা বলেন, সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে উদ্যোগ না নিলে সমাজ এই দায়িত্ব নিতে পারে। এজন্য সমাজের সকল মানুঘকে সোচ্চার হতে হবে।

ভোলায় সম্প্রতি সংঘটিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের নেতা বিদ্যুৎ দাস। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের নেতা অধ্যাপক নবেন্দু বিকাশ দত্ত, শীতাংশু গুহ এবং ড. দ্বীজেন ভট্টাচার্য। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. টমাস দুলু রায়, সুশীল সাহা, রোজেলিন কস্তা, চন্দন সেনগুপ্ত, রিনা সাহা, প্রকাশ গুপ্ত, অবিনাশ আচার্য, রূপকুমার ভৌমিক, গোবিন্দ গোস্বামী, দীনেশ মজুমদার, নিতাই বাগচি প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে রামু, নাসিরনগর ও রংপুরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা জানিয়ে বলা হয়, সংখ্যালঘু নিযাতনের ঘটনায় মামলা হলেও এর বিচার হচ্ছে না। বাংলাদেশের জন্ম একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ১৯৮৮ সালে এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে ৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ১১ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ড. দ্বীজেন ভট্টাচার্য।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ০৪ নভেম্বর ২০১৯ /এমএম


Array

এই বিভাগের আরও সংবাদ