Menu

ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় ই-ক্যাব

বাংলানিউজ সিএ ডেস্ক :: জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা-২০১৮ কার্যকরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত গেজেট দেশের ব্যবসাক্ষেত্রের ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।

পাশাপাশি ই-কমার্স শিল্পপ্রতিষ্ঠায় ‘মাইলফলক’ হিসেবে মূল্যায়ন করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। একইসঙ্গে ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে বাজেটেও কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখাসহ আসন্ন বাজেটে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চাইছে ই-ক্যাব।

সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উত্থাপন করে ই-কমার্স অ্যায়োসিয়েশন বাংলাদেশ।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ক্রেতারা যেন অনলাইনমুখী হতে পারেন এবং অনলাইনে কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেজন্য সরকার আগামী বাজেটেও যেন কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখে। সে জন্য বাস্তবে দোকান থাকলেও কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে থাকে তবে তাদেরও যেন কর অবকাশ সুবিধার অধীনে নিয়ে আসা হয়।’

গেজেট আকারে প্রকাশিত ই-কমার্স নীতিমালা ২০১৮ দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা কবচ উল্লেখ করে শমী কায়সার আরও বলেন, গেজেটে বাংলাদেশি কোম্পানি ও বিদেশি কোম্পানি সমতাভিত্তিক মালিকানার ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগে নির্দেশনা রয়েছে। এটি কর?লে দেশের অন্যান্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে গেজেট আকারে ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশ বর্তমান সরকারের সাহসী উদ্যোগ এবং দেশের ই-শিল্পায়নে তা মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।’

‘বর্তমান আইনে অনলাইনে পণ্য বিক্রি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা হলেও অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসার মতো অফিস ভাড়ার ক্ষেত্রে মূসক অব্যাহতি সম্পর্কিত কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য উল্লেখ নেই। আমরা আশা করছি, আগামী বাজেটে পরিষ্কার উল্লেখ করে মূসক অব্যাহতি দেয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে ই-ক্যাবের সাধারণ বাজেটের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। তাদের প্রস্তাবনাগুলো হল- ই-কমার্সের সার্বিক দিক বিবেচনা করে ই-কমার্স ডেলিভারি সার্ভিস, পেমেন্ট সার্ভিস, ক্রস বর্ডার ই-কমার্স, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা, গ্রাম পর্যায়ে ই-কমার্স সেবা পৌঁছে দেয়া, ভোক্তা অধিকার, পণ্যের মান ও প্রতিযোগিতামূলক দাম নিয়ন্ত্রণ, অনলাইন ও ওয়েব সুরক্ষা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের ডাইরেক্টর নাসিমা আক্তার নিশা, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আবদুল হক।

বাংলানিউজসিএ/ইএন/২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ইং