Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: একটি সম্পর্কে দীর্ঘদিন থাকলে অনেক সময় একঘেয়ে লাগতেই পারে। মনেও হতে পারে সঙ্গীর প্রতি আপনার টান নেই। কিন্তু পরবর্তীতে বিচ্ছেদ আসলে বুঝতে পারেন এতদিন বোধহয় ভুল ভেবেছিলেন। বিচ্ছেদের পর মানসিক চাপ বাড়তেই পারে। আর এই চাপ থেকেই স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে। ইমোশনাল স্ট্রেস অনেক ক্লান্তি ডেকে আনে। আর এই স্ট্রেসের সঙ্গে হৃদরোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বেশি স্ট্রেস বা মানসিক চাপ অজান্তেই ক্ষতি করছে হার্টের। কারণ স্ট্রেস বেড়ে গেলে শরীরে ক্যাটেকোলামাইনস নামক হরমোনের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। এই হরমোনের ক্ষরণ বাড়া মানে আমাদের শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই বাড়তি অক্সিজেনের জোগান দিতে গিয়ে চাপ পড়ে হার্টের ওপর। আবহাওয়ার পরিবর্তন, বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব, পরিশ্রম মিলিয়ে আপনার ক্লান্তি অনেক বেড়ে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্রমাগত মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে একসময় রক্তচাপও বৃদ্ধি পায়। এর এর ফলে হার্টের আকারেরও পরিবর্তন ঘটতে পারে। হৃৎস্পন্দনে অস্বাভাবিকতা এসে আপনার ক্ষতি করে।

যেসব ড্রাই ফ্রুটস সকালে খেলে ক্ষতিযেসব ড্রাই ফ্রুটস সকালে খেলে ক্ষতি
করোনারি ধমনিতে হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত জোগান দিতে পারেন না। যার ফলে বুকে ব্যথা শুরু হয়, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইসচেমিয়া বলে। এছাড়া হার্টবিট অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের মধ্যে রক্ত জমাট পর্যন্ত বেঁধে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ বা ইমোশ্যানাল স্ট্রেস গ্রাস করলে স্ট্রেস হরমোন ক্ষরিত হয়, যা রক্তে শর্করা, কোলেস্টেরল, টাইগ্লিসারাইডের পরিমাণকে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে।

এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে মানসিক প্রশান্তি জরুরি। সম্পর্ককে সীমাবদ্ধ রেখে নিজেকে সময় দেওয়া জরুরি। কিছু মানুষ থাকে জীবনে যাদের প্রয়োজনীয় মনে হয়। সম্পর্কচ্ছেদের পর মনে হয় তাদের প্রতি ভুল আবেগও রয়েছে। এই মানুষদের ঠেলে নিজের মানসিক স্ট্রেস দূর করা উচিত। নিজের অজান্তেই কিছু কিছু বিরক্তিকর মানুষের উপস্থিতি না রাখলে ভালো। যদি সম্পর্কে এই বিচ্ছেদ আসে তাহলে তা ঠিক করার প্রত্যাশা থেকে অপেক্ষা করতে পারেন। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি ভালো কিছু আনে না। তবে এই সময়ে ভুল সম্পর্কগুলো ছাঁটাই করা জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসেও মন না চাইলে ফিরে যাওয়া উচিত।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৬ জুন ২০২৪ /এমএম