Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: একেকটি বিমান প্রায় ২ লাখ কিলোগ্রামের বেশি ওজন হয়ে থাকে। তারপরও খুব সহজেই আকাশে ভেসে থাকতে পারে। পাখির আকাশে উড়া নিয়েও রয়েছে বড় রহস্য। এদের গায়ে পালক, ফাঁপা হাড় পাখিকে আকাশে উড়তে এবং ভেসে থাকতে সাহায্য করে। পালকগুলো থাকে খুব হালকা কিন্তু দৃঢ়। এগুলো নমনীয় এবং স্থিতিস্থাপক। পাখিদের পালক বিন্যাস উড়ার সময় এদেরকে হাল্কা রাখতে সহায়তা করে। প্লেন উড়ানোর জন্য এই ধরনের পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়।

প্লেন কীভাবে আকাশে উড়ে তা বুঝতে হলে প্রথমে প্লেনের যান্ত্রিক গঠনের দিকে লক্ষ্য করতে হবে। বিশেষ করে বিমানের ইঞ্জিন ও পাখার গঠন। এগুলো কীভাবে কাজ করে সেদিকে লক্ষ্য করতে হবে। সবার আগে যেটা মনে রাখতে হবে তা হলো প্লেনের ইঞ্জিন গাড়ির ইঞ্জিনের মতো নয়। প্লেন উড্ডয়নের সময় চারটি বিষয় কাজ করে- উত্তোলন, ওজন, ধাক্কা, টান।

প্লেনের ইঞ্জিন বিশেষভাবে নকশা করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যা চলন্ত অবস্থায় পুরো প্লেনকে অতি উচ্চ গতিতে সম্মুখে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যার ফল স্বরূপ প্লেনের পাখায় অতি উচ্চ গতিতে বায়ু প্রবাহিত হয়। বায়ু প্রবাহ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে। পাখার সুনিপুন যান্ত্রিক গঠনের ফলে উড্ডয়নের সময় এই উচ্চ গতির বায়ু পাখার সাহায্যে ভূমি অভিমুখে চালিত হয়ে বল প্রয়োগ করে।

এজন্য খেয়াল করলে দেখা যাবে, বিমান যখন উড্ডয়নের প্রারম্ভে থাকে তখন এর পাখার সংকীর্ণ প্রান্ত নিম্নমুখী থাকে, যেন ইঞ্জিনের সহায়তায় প্রাপ্ত উচ্চ গতির বায়ু প্রবাহ পাখার সাহায্যে ভূমি অভিমুখে বল প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়। যার ফল স্বরূপ প্লেন ২ লাখ কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজন নিয়েও আকাশে উড়তে সক্ষম হয়।

অবাক হওয়ার বিষয় এই যে, প্লেন এর চেয়েও বেশি ওজন নিয়ে আকাশে উড়তে সক্ষম। যেমন, আন্তোনভ এ. এন.-২২৫ হলো একটি কার্গো বিমান যা সাধারণত বিশাল আকৃতির কোনো একক পণ্য আন্তর্জাতিক সীমানায় পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয় আর খালি অবস্থাতেই এই প্লেনটির ওজন ২৮৫,০০০ কিলোগ্রাম। বিমানটিকে আকাশের দৈত্য বলা হয়। প্লেনটি সোভিয়েত আমলের তৎকালীন ইউক্রেনে তৈরি করা হয়েছিল। পণ্যসহ উড্ডয়নের সময় এর সর্বমোট ওজন ৬৪০,০০০ কিলোগ্রাম পর্যন্তও হতে পারে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২২ মে ২০২৪ /এমএম