প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে শুক্রবার শক্তিশালী একটি সৌরঝড় পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে। এর ফলে তাসমানিয়া থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের আকাশে আকর্ষনীয় মহাকাশীয় আলো দেখা গেছে। বিরল এই সৌর ঝড়ের কারণে বিভিন্ন উপগ্রহ ও বৈদ্যুতিক গ্রিডের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ)-এর স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার পর বেশ কয়েকটি করোনাল ম্যাস ইজেকশনের (সিএমই)-এর ঘটনা ঘটেছে। পরে এটি ‘মারাত্মক’ ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ে পরিণত হয়।
এর আগে ২০০৩ সালের অক্টোবরে তথাকথিত ‘হ্যালোইন স্টর্মস’-এর পর এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। ওই সময়ের সৌর ঝড়ে সুইডেনে ব্ল্যাকআউট এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন এবং সৌর শিখা ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে।
এদিকে সৌরঝড়ের কারণে বর্তমানে উত্তর ইউরোপ থেকে করে অস্ট্রেলেশিয়া পর্যন্ত অরোরা বা নর্দার্ন লাইট দেখা যাচ্ছে আকাশে। সেই দৃশ্যের ছবি ও ভিডিও ঝড় তুলেছে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। অন্যদিকে সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। তাই স্যাটেলাইট অপারেটর গুলোকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১১ মে ২০২৪ /এমএম





