Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: ভয়াবহ তাপদাহে হিট স্ট্রোকের ভয় সবার। এই ভয়াবহ গরমে প্রাথমিক-মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল বন্ধ থাকলেও চালু তো রয়েছে কর্মস্থল। আর কাজে বাইরে তো বেরুতে হবেই। সময় যতই নিয়ন্ত্রণ করা হোক বের হবার, দাবদাহে সুস্থ থাকা কঠিন। এ বিষয়ে খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এন এ কংকার রয়েছে কিছু মতামত।

প্রচণ্ড গরমে অনেকেই খাবার রুচি পান না। এর মূল কারণ ঝাল, টক ও অনেক মশলাজাতীয় খাবারের পাশাপাশি কোমল পানীয় পান করে গ্যাসের সমস্যা বাধান। কিন্তু শরীর এই সময় প্রচুর ঘাম নিঃসরন করে বিধায় পুষ্টিকর খাবারে মনোযোগ দিতেই হবে। সেটি কিভাবে? চলুন জেনে নেই:

মৌসুমি ফল খান
গরমে কৃত্রিম চিনি দিয়ে ঠান্ডা শরবত বানিয়ে খেলে কোনো লাভই নেই। সেটা আরও ক্ষতিকর। চেষ্টা করুন গরমের মৌসুমী ফল খেতে। ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে যেমন শশা, ডাব বা অন্য কিছু ফল খান। পেঁপে আর আনারস তো এমনিতেই রাস্তায় এখন পাওয়া যায়। দেশীয় রসালো ফলগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

পানি পান করুন
রাস্তায় বেরুলে একটা বোতল সঙ্গে রাখবেন। প্রচন্ড ঠান্ডা পানি পান করবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি। পানিতে গ্লুকোজ মিশিয়ে নিতে পারেন ডায়বেটিস না থাকলে। এখন অনেকেই বাজারের ইলেকট্রোলাইট ড্রিংক পান করেন। এসব ড্রিংক খারাপ এমন না। তবে সবার জন্য না। প্রেশার ও ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য তো তা কিছুটা ঝুঁকির। স্যালাইন খেতে হলে অবশ্যই ৫০০ মিলি পানিতে গুলাবেন৷ এর কম পানিতে না। চলার পথে একটু একটু করে গলা ভেজান।

সবজি
গরমে অনেকেই ঢেড়শ আর বেগুন খান। সব্জিটাও মজার। তবে এ সবজিতে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড অনেক বেড়ে যেতে পারে। সেটা অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিছু না। সবুজ সবজি যেমন কাঁচা পেপে, পটোল, ঝিঙা, ধুন্দল, পালং শাক খান। টক ডালও মন্দ না। তবে পাতলা করে। বেশি ঘন ও মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক হবে না। খাবারের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি রয়েছে এমন খাবারও খান। তবে গরমে তা কতটা ইম্প্যাক্ট ফেলে শরীরে যাচাই করুন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৩ এপ্রিল ২০২৪ /এমএম