প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: প্রযুক্তির অন্যতম আশীর্বাদ স্মার্ট মোবাইল ফোন। এখন ছোট-বড় প্রায় সবার হাতেই রয়েছে মোবাইল ফোন। এই ডিভাইসটি মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করে দিয়েছে। তবে এর অপব্যবহার হলে ভোগান্তিতেও পড়তে হয় ব্যবহারকারীকে। তেমনি একটি ভোগান্তি বা সমস্যা হলো ট্র্যাকিং। ট্র্যাকিংয়ের শিকার হলে গোপন বলে আর কিছুই থাকবে না। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবিসহ সবকিছুই চলে যাবে অন্যের হাতে।
অন্য কোনো ব্যক্তি ট্র্যাকিং চালু করেছেন কিনা সেটা ডিভাইসের মালিক বুঝতেও পারবেন না। এতে অনেক অ্যাপ এবং ফোন অপারেটিং সিস্টেমের লোকেশন-ট্র্যাকিং ফিচার মানুষের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। খানিকটা সতর্ক থাকলে এ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে কিছু ধাপ অনুসরণ করে নিশ্চিত হতে হবে সত্যিই ফোন ট্র্যাকিং করা হচ্ছে কিনা। নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে বন্ধ করে রাখুন আপনার ফোনের ট্র্যাকিং।
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে সতর্কতা
ট্র্যাকিং থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে সতর্ক থাকলেও ট্র্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকা যায়। কারণ ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে সংরক্ষিত থাকে।
অ্যাপ ও অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ ব্যবহার
অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ বিভিন্ন সময় নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়। এসব ত্রুটি সমাধানে প্রতিষ্ঠানগুলো অপারেটিং সিস্টেম বা অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ প্রকাশ করে। তাই সুরক্ষিত থাকতে অ্যাপ ও অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
অব্যবহৃত অ্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি বন্ধ
একটি স্মার্টফোনে অনেক অব্যবহৃত অ্যাপ থাকে। তবে এসব অ্যাপ ইনস্টলের সময় ক্যামেরা, মাইক্রোফোনসহ অবস্থান, ফাইল ও কল লগের মতো বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিতে হয়; কিন্তু ফোনে ইনস্টল করার পর সব অ্যাপ নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না। অব্যবহৃত অ্যাপগুলোকে দেওয়া অনুমতি মুছে ফেলে ট্র্যাকিং ঠেকানো সম্ভব।
গণওয়াই–ফাই ব্যবহারে সতর্কতা
গণওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারে ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে। কারণ অনেক সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা তেমন শক্তিশালী হয় না। ফলে সাইবার অপরাধীরা চাইলেই পাবলিক ওয়াই-ফাই থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারে।
এয়ারপ্লেন মোড চালু
সাধারণত বিমানে চলাচলের সময় ফোনের এয়ারপ্লেন মোড চালু করা হয়। তবে এ মোড চালু করে পরোক্ষভাবে ফোন ট্র্যাকিং রোধ করা যায়। এ মোড চালু হলে ব্যবহারকারী ফোনকল করার সুযোগ পান না।
র্যাঙ্ক সিকিউরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বারুচ লাবুনস্কি বলেন, যেকোনো ধরনের ট্র্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম উপায় হলো এয়ারপ্লেন মোড চালু করা। ফলে ফোনের অভ্যন্তরে ইনস্টল করা সেল ও ওয়াই–ফাই রেডিয়াস বন্ধ থাকে। ফলে ফোন কোনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে না।
লোকেশন অ্যাকসেস বন্ধ করা
স্মার্টফোনের সেটিংস থেকে লোকেশন অ্যাকসেস বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে ফোন ব্যবহারকারীর সঙ্গে থাকলেও ট্র্যাক করা যাবে না।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৬ মার্চ ২০২৪ /এমএম