Menu

ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাচ্ছে স্মার্টফোনে

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: হাতের মুঠোর স্মার্টফোনটি আপনার প্রয়োজনের সব কিছুর জোগান দিতে দিতে ক্রমশ নির্ভরশীল করে ফেলেছে আপনাকে। কোথাও যাচ্ছেন গাড়িতে, হাতের স্মার্টফোনটি নিয়ে আপনি ভীষণ ব্যস্ত।কোথাও অপেক্ষা করছেন, আপনার স্মার্টফোনটি সঙ্গ দিচ্ছে আপনাকে। খেতে বসেছেন, হয়তো স্মার্টফোনটিকে নিয়ে ব্যস্ততার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া করছেন আপনি।

এভাবে, বাস্তব দুনিয়ার সঙ্গে একটা প্রযুক্তিগত আবডাল তৈরি করে আপনি হয়ে উঠেছেন স্মার্টফোনে আসক্ত। সম্প্রতি এ বিষয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ৫০০ মানুষের ওপর জরিপ চালায়।সেখানে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, দিনের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাটান স্মার্টফোনে। যেমন, এক ব্যবহারকারী জানান, ফোনে গড়ে ছয় ঘণ্টা ব্যয় করেন তিনি। মাঝে মধ্যেই তার সঙ্গী অনুভব করেন তাদের সম্পর্কের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোনের স্ক্রিন। একসঙ্গে সিনেমা দেখা, খাওয়া বা ঘরে একত্রে থাকা সময়টুকুতে সঙ্গিণী মেতে থাকেন ক্যান্ডি ক্র্যাশ বা অ্যাংরি বার্ডস গেমে।

জেনিফার নামের এক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তিনি আগে সারাদিনই ফোনের পেছনে ব্যয় করতেন। এখন বাচ্চাদের সামনে ফোন ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে, হয় বাচ্চাদের সময় দিতে হবে নয়তো ফোন ব্যবহার করতে হবে।একসঙ্গে দুটি কখনও করা যায় না। অনেকেই আবার দুই মিনিট ফোনের দিকে তাকিয়েই ছুট লাগান অন্য কাজে। ঘড়ির কাঁটা ধরেও ফোন ব্যবহার করেন অনেকে। যাত্রাপথে কোনো কিছু করার না থাকলে তখন ফোনে সময় কাটান। তবে ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যবহারে ক্ষতি নেই বলেও মনে করেন অনেক ব্যবহারকারী।

ফোনে কথা বলে, গেম খেলে, গান শুনে বা মেডিটেশনের অ্যাপ ব্যবহার করে জীবনের মান উন্নত করা যায় বলে মত দিয়েছেন তারা। এভাবে, স্মার্টফোনের এই নতুন যুগে, মানুষের কর্মকাণ্ডের বেশিরভাগ সময় চুরি হয়ে যাচ্ছে, এতে মনোযোগ বা মানসিক স্থিরতা নষ্ট হচ্ছে। পারিপার্শ্বিক জগতের সঙ্গে তৈরি হচ্ছে দূরত্ব। এই চিত্র এখন সারা বিশ্বের, এমন মতও অনেকের।বলাবাহুল্য এই স্মার্টফোন আসক্তির চিত্র শুধু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নয়। শিশু-কিশোররাও পড়েছেন আসক্তিতে। অনেক সময় বাবা-মা সময় দিতে পারছেন না সন্তানকে, ফলে স্মার্টফোন বা ট্যাব দিচ্ছেন শিশুদের হাতে।

ফলে প্রায়ই দেখা যায়, শিশু-কিশোরদেরও একটা দীর্ঘ সময় পার হয়ে যায় এভাবেই। এরপরে একটা সময় দেখা যায়, বাবা-মার অজান্তেই শিশুদের আসক্তি চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে। এবং যখন বাবা-মা তাদের মনোযোগ সন্ধান করছেন তখন বিপাকে পড়ছেন। কেননা শিশুটি তখন হয়তো নতুন কোনো গেমস নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৯ আগস্ট ২০১৯ / এমএম