Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ ঘর সাজাতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আর নারীদের ক্ষেত্রে তো এটা বলা বাহুল্য। সবাই চায় নিত্যনতুন নান্দনিক ধরন ধারণের ঘর সাজাতে। কিন্তু সব সময় নিত্য নতুন নান্দনিক চিন্তাভাবনা পরিকল্পনা করাটাও কঠিন। যেমন নতুনের শেষ নেই তেমন সুন্দরের শেষ নেই।দিনশেষে ঘর একটি স্বস্তির জায়গা, যেখানে শান্তি মেলে আর সেই ঘর যদি একদম অন্যরকম ধরনের সাজানো যায় যা আকর্ষণীয় এতে দেখতেও যেমন ভালো লাগে মনেও আরাম অনুভব হয়।

এছাড়াও বাড়িতে কোন অতিথি আসলে আপনার রুচির পরিচয় আপনার ঘরের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। তাই ঘরকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য খুব বেশি কিছু দরকার নেই। আশেপাশে থাকা প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে ঘরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা সম্ভব। তেমনি একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হচ্ছে বাঁশ।

বাঁশ কথাটা শুনে অনেকেরই মাথায় আসবে বাঁশ কেবলই রেস্টুরেন্ট কিংবা রিসোর্টের জন্য উপযুক্ত একটি জিনিস। কিন্তু এইটা দিয়েও যে শৈল্পিকভাবে ঘর সাজানো যায় এই ধরনের চিন্তা খুব কম মানুষই করতে পারবে।

দেশের বিভিন্ন ভ্রমণ স্থানগুলোতে গেলে দেখা যায় সেখানে বাঁশের রিসোর্ট রয়েছে। সম্পূর্ণ রিসোর্ট টাই বাঁশ দিয়ে তৈরি। এছাড়াও চীনের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলো বাঁশের সাজসজ্জায় সজ্জায়িত। এছাড়াও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাঁশ দিয়ে সাজানো যে কোন জিনিসই মনে প্রশান্তি দেয়।

সবধরনের বাঁশ কিন্তু ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। কারণ বেশিরভাগ বাঁশই ব্যবহারের উপযুক্ত না হওয়ার কারণে এগুলো স্থায়িত্ব সময় খুবই কম এতে করে জিনিস ব্যবহার করার বদলে অপচয় হবে বেশি। যেসব বাঁশ হালকা, নমনীয় এবং প্রাকৃতিকভাবে শক্তিশালী, সেগুলোই ব্যবহারের উপযুক্ত। বাঁশের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি সবধরনের আবহাওয়ার উপযোগী। আমাদের দেশে ৩০টির বেশি প্রজাতির বাঁশ পাওয়া যায়। সিলেট অঞ্চলে বেশি দেখা যায় তল্লা ও করজবা বাঁশ। খুলনা অঞ্চলে বরাক আর ময়মনসিংহ অঞ্চলে পাওয়া যায় ভুদুম বাঁশ। প্রায় সারা দেশেই আছে মুলি বাঁশ। তাই মুলি বাঁশ যেকোনো জায়গার জন্য উপযুক্ত। ঘরে বাঁশের ব্যবহারে ভিন্ন ধরনের উপায় বলা যাক –

ঘরের সাজসজ্জায় বেত ঘরের সাজসজ্জায় বেত
সব সময় যেহেতু ঘর কিংবা বারান্দা দিয়ে শুরু হয় আজ রান্নাঘর দিয়ে শুরু করা যাক। রান্নাঘরে কিভাবে বাঁশের ব্যবহার করা যায়- প্রথমত রান্নাঘর নারীদের সময় কাটানোর অন্যতম একটি জায়গা। সেই জায়গাকে যত সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় ততই যেন ভালো লাগে। তাই রান্নাঘরের বিভিন্ন সেলফ, রেক ও কেবিনেট এইসব জিনিসগুলো বাঁশের তৈরি হলে দেখতে বেশ সুন্দর ও আনকমন ভাব আসবে। এছাড়াও রান্নাঘরে ব্যবহার করার বিভিন্ন জিনিস যেমন: ট্রে, মশলা দানি এই ধরনের জিনিসগুলো বাঁশের ব্যবহার করা যেতে পারে।

এবার বারান্দায় আসা যাক- বারান্দায় যদি বাঁশের চেয়ার, টেবিল ও মোড়া রাখা যায় তবে মন্দ হয় না। নিচে সবুজ কার্পেট এবং বাঁশের চেয়ারে ও মোড়ায় রঙিন কুশন। এছাড়াও চারিদিকে ঝুলন্ত গাছ কিংবা টবের ফুল গাছ দিয়ে বারান্দা সাজালে খুবই সুন্দর ও শৈল্পিক লাগবে। এমন সুন্দর বারান্দায় হাতে একটি বই সাথে, এক কাপ চা নিয়ে একটি সুন্দর বিকেল কাটিয়ে দেওয়া যাবে।

ডাইনিং ও বসার ঘরে বাঁশ- বসার ঘরে বাঁশের জিনিস মানে ই নতুনত্বের আবির্ভাব। যেমন বসার ঘরের সোফা টা বাঁশের তৈরি হতে পারে। দেয়ালের এক পাশে একটি বাঁশের আয়না লাগানো যেতে পারে। এমনকি বাঁশের ঘড়িও লাগানো যেতে পারে। একটি বাঁশের সেলফ রাখা যেতে পারে সেখানে বই, ফুলদানি এবং শোপিস দিয়ে সাজানো যেতে পারে।

ডাইনিং রুমে খাবার টেবিল চেয়ার বাঁশের তৈরি রাখা যেতে পারে। এছাড়াও খাবার ঘরে একটা কফি কর্নার করতে পারেন যেখানে সবকিছুই বাঁশের থাকবে এবং থাকবে কিছু রঙিন মগ, ট্রে প্রভৃতি যাতে করে জায়গাটা আরো আকর্ষণীয় ও নান্দনিক মনে হয়। এছাড়াও যদি হয় ড্রয়িং কাম ডাইনিং রুম হয়, তাহলে বাঁশের পার্টিশন ব্যবহার করতে পারেন। সহজলভ্য ও দেখতেও সুন্দর।

কোথায় পাবেন এসব জিনিস
বর্তমান সময় মানুষ অনলাইনে নির্ভরশীল বেশি। বাঁশের যেকোন জিনিস অনলাইনে খুব সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন দোকানে নিজের মত করে ডিজাইন দিয়ে বাঁশের তৈরি জিনিস বানিয়ে নেওয়া যায়।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ /এমএম