বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাইড শেয়ারিংয়ের গণপরিবহণ সেবা উবার, পাঠাওয়ের মতো আরও যেসব সেবা প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সেবা নিলে এখন থেকে ভোক্তাদের বাড়তি খরচ করতে হবে।
কেননা বাজেটে এসব সেবার উপর বাড়তি করের বোঝা চাপানো হয়েছে।
এবারের বাজেটে রাইড শেয়ারিংয়ের উপর সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে এ হার ছিল ৫ শতাংশ। ফলে এখন ভ্যাটের হার আড়াই শতাংশ বাড়বে।
এতে এই সেবার বিপরীতে খরচও ওই হারে বাড়বে। এসব সেবার বিপরীতে আরোপিত ভ্যাট সরাসরি ভোক্তার কাছ থেকে নেয়া হবে।
একই সঙ্গে আগে উৎসে কর ছিল ৩ শতাংশ। এবার আরও ১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বছরে যেসব প্রতিষ্ঠানের সেবার পরিমাণ ২৫ লাখ টাকার কম, বর্তমানে সেসব প্রতিষ্ঠানে ৩ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হয়। আর ২৫ লাখ টাকার বেশি হলে করের হার ৪ শতাংশ।
নতুন বাজেটে এসব প্রতিষ্ঠানের সেবার পরিমাণ ২৫ লাখ টাকার কম হলে ৪ শতাংশ হারে উৎস কর দিতে হবে। আয় যদি ২৫ লাখ টাকার বেশি হয় তাহলে উৎস কর দিতে হবে ৫ শতাংশ।
এই বাড়তি করের অর্থ তারা সেবামূল্য বাড়িয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকেই আদায় করবেন। ফলে সার্বিকভাবে এই করও ভোক্তার কাছ থেকে যাবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীসহ চট্টগ্রামে রাইড শেয়ারিংয়ের ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। যানজট ও গণপরিবহণের সংকটের কারণে অনেকের কাছেই এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১৬ জুন ২০১৯/ এমএম