Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::‌ গ্রাম ও শহরের ব্যবধান কমিয়ে আনতে সরকার সারা দেশে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘এক দেশ এক রেট’ চালু করেছে। তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতির এ সময়ে সবকিছুই ইন্টারনেটকেন্দ্রিক। তাই ইন্টারনেটের দামের বৈষম্য থাকাটা অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি সারা দেশের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এদিকে বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত ইন্টারনেটের দামে আদো গ্রাহক পর্যায়ে সেবা পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে অনেক গ্রাহক। এ ব্যাপারে বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত ‘এক রেটে’ সেবা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিটিআরসির গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক জাকির হোসেন বলেন, দেশের যে কোনো প্রান্তে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের একই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ যদি এ রেটে সংযোগ না পান তাহলে তিনি ১০০ নম্বর ডায়াল করে কমিশনে অভিযোগ জানাতে পারেন। এ ছাড়া বিটিআরসির এই লিংকে http://btrc.isslcrm.com/ ComplainManagement ঢুকেও অভিযোগ জানানো যাবে। কোনো সেবাদাতার নিয়ম ভাঙার সুযোগ নেই। এটি যদি কেউ করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জাকির হোসেন।

বিটিআরসি জানিয়েছে, প্রতি সংযোগে সর্বোচ্চ আটজন গ্রাহকের শেয়ার্ড করতে পারবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা। এক্ষেত্রে ৫ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও ২০ এমবিপিএস-এর দাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন-আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলছেন, নির্ধারিত রেটে নির্ধারিত ব্যান্ডউইথে সংযোগ দিতে সমস্যা হওয়ার কথা না। তারপরও কোথাও সেবা সংক্রান্ত সমস্যা হলে আমরা সংশ্লিষ্ট আইএসপির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করে দেওয়া হবে।

বিটিআরসি বলছে, সব অপারেটরের ব্যয় ও বাজার বিশ্লেষণ, ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি)-এর ব্যান্ডউইথ মূল্য, ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন)-এর ট্রান্সমিশন মূল্য, পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পপ), ইকুইপমেন্ট, ক্যাপাসিটি ব্যাকআপ ব্যবস্থা ইত্যাদি মূল্যায়ন ও বিবেচনা করে এ যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য ইন্টারনেট ট্যারিফ নির্ধারণ করা হয়েছে।

৬ জুন বিটিআরসিতে এক অনুষ্ঠানে ‘এক দেশ, এক রেট’ ট্যারিফ উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। শহর ছাড়িয়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে তথা গ্রামেও পৌঁছে গেছে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গ্রাহক বর্তমানে দেশে প্রায় এক কোটি। এ সংখ্যক গ্রাহক দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহাকারীর ১৭ শতাংশ। কিন্তু এ গ্রাহকরা দেশের মোট ব্যান্ডউইথের ৫৮ শতাংশ ব্যবহার করে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস/ঢাকা/ ১১ জুন ২০২১ /এমএম