বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: সোশ্যাল মিডিয়ার একটা পোস্ট কীভাবে সমাজে ভালো বা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, তার একগুচ্ছ উদাহরণ রয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা ঘটনাকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য বানিয়ে কট্টরপন্থিদের রোষের মুখে পড়তে হয় অনেককেই। স্থান,কাল,পাত্র পছন্দ না হলেই সরগরম হয়ে ওঠে নেটদুনিয়া। একটা ভুল খবর বা বিতর্কিত পোস্ট এক ঝটকায় শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে যেমন রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব, তেমনই বিজ্ঞানের অভিশাপের মতোই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পারে একটি ভুয়া খবর।
কোন সূত্র থেকে খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে খবরটি কে ছড়িয়েছে। এবং সেই ব্যবহারকারীকে পড়তে হয় বিপাকে। সোশ্যাল মিডিয়ার বাড়বাড়ন্ততে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সম্পর্কে ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়তে এক মুহূর্তও সময় লাগে না। তাই বলে কি ভারচুয়াল দুনিয়ায় ঘোরাফেরা করা বন্ধ করে দেবে সাধারণ ব্যবহারকারী ? কোনো খবর বা তথ্য শেয়ার করার ইচ্ছা হলেও নীরবতাই পালন করতে হবে? একেবারেই নয়। ব্যবহারকারীরা যাতে সুস্থভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য একটি বিশেষ পদক্ষেপ করেছে ফেসবুক। এতে যেমন ভুয়া খবর ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা কমবে তেমনই সমাজে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও তৈরি হবে না।
এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে জানিয়েছে, ভুয়া খবর, ভুল তথ্য ধরতে দক্ষ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কোম্পানি। যাঁরা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ রুখে সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করছেন। ফেসবুকের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে ও ভুয়া খবর আটকাতে প্রতিনিয়ত কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। এই বিরাট চ্যালেঞ্জে সফল হতে এক পা এক পা এগুচ্ছে ফেসবুক। বলাই বাহুল্য, সে সমস্ত পদক্ষেপ ফেসবুকে ভুয়া খবর ছড়ানো অনেকটা রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের কথা ভেবেই সতর্ক ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ২৬ মে ২০১৯/ এমএম