Menu

পশ্চিমবঙ্গে ফণীর ছোবল

বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ঘূর্ণিঝড় ফণী আজ শুক্রবার সকালে ধেয়ে আসছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দিকে। এর আগে ফণী আঘাত হেনেছে ওডিশা রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে কলকাতা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল।

সকালে কলকাতার আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফণী ভারতীয় সময় দুপুরের দিকে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে। ফণী তাণ্ডব চালাতে পারে পশ্চিমবঙ্গে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টি কাল শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে। রোববার পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ ফণীমুক্ত হবে।

পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী ওডিশার পাশ্ববর্তী দীঘায় গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি। দীঘার হোটেল খালি করে পর্যটকদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, বকখালি, শঙ্করপুর, হলদিয়া সমুদ্রবন্দরে লাল সংকেত দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পর্যটকদের।

পশ্চিমবঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী ৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ও কলেজ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌবাহিনীর ৭টি যুদ্ধজাহাজ ও ৭টি হেলিকপ্টার। ত্রাণ সামগ্রীসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

গতকাল পুরীর সব হোটেল থেকে দুই লাখের মতো পর্যটক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গের। ওডিশা সরকার পুরী থেকে পর্যটকদের কলকাতায় পাঠানোর জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে। এ ছাড়াও ভারতীয় রেল পশ্চিমবঙ্গের পর্যটকদের ফিরিয়ে নিতে ৪টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। তবে ভারতীয় রেল আজ ও আগামীকাল দুইদিনের জন্য ১০৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে।

পশ্চিবঙ্গের দীঘায় আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকার স্কুল কলেজে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্রবন্দর হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরের জাহাজগুলোকে নিরাপদ এলাকায় অবস্থান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকারও নৌসেনা ও কোস্টাল গার্ডকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্য সচিবালয় নবান্নে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ৩ মে ২০১৯/ এমএম


Array