বাংলানিউজসিএ ডেস্ক :: ঢাকা ও ইস্তাম্বুলের মধ্যে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াবে তুর্কিশ এয়ারলাইন্স। বর্তমানে প্রতিদিন একবার করে ঢাকা-ইস্তাম্বুল তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল করে। এ রুটে যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও কার্গো ফ্লাইটও চালায় বিমান সংস্থাটি।
তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের এশিয়া ও দূরপ্রাচ্য বিষয়ক সেলসের দায়িত্ব পালনকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট তুনকে ত্রিমনোগ্লু ইস্তাম্বুলে তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের সদর দফতরে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের এক প্রতিনিধি দলকে বলেন, ‘আমরা নতুন এয়ারক্রাফট পেলে বাংলাদেশে ফ্লাইট বাড়াব।’
তিনি আরও জানান, ‘শুধু রাজধানী ঢাকা থেকে নয়, চট্টগ্রাম থেকেও ফ্লাইট চালু করতে চায় তুর্কিশ এয়ারলাইন্স।’
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে একমাত্র তুর্কিশ এয়ারলাইন্সই ফ্লাইট পরিচালনা করে। সংস্থাটির বাংলাদেশে নিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার এমরাহ কারাজা বলেছেন, তাদের এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে লাভজনক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বছরে তারা এক লাখ ৭০ হাজার যাত্রী ঢাকা ও ইস্তাম্বুলের মধ্যে পরিবহন করছেন।
২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে এ রুটে তুর্কিশ এয়ারলাইন্সের যাত্রী বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের এয়ারলাইন্সে ঢাকা ও ইস্তাম্বুলের মধ্যে যেসব যাত্রী চলাচল করেন, তাদের মধ্যে আট শতাংশ শুধু বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে চলাচল করেন।’
‘অবশিষ্ট যাত্রীরা ইউরোপ, আমেরিকা ও কানাডা যেতে এ রুট ব্যবহার করেন।’
তুর্কিশ এয়ারলাইন্স বিশ্বের ১২৪টি দেশে ৩১১টি গন্তব্যে চলাচল করে। ডো অ্যান্ড কো নামের অস্ট্রিয়াভিত্তিক ক্যাটারিং তার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানে খাবার সরবরাহ করে।
এমরাহ কারাজা বলেন, তাদের এয়ারলাইন্সে যাত্রীর চাপ বেশি। তবে বাংলাদেশিরা ভিসা কম পাওয়ার কারণে সম্ভাবনার চেয়ে যাত্রী কম। মানবপাচার রোধে অতিরিক্ত সতর্ককতা অবলম্বনের কারণে বাংলাদেশিরা ভিসা কম পান।
তুরস্কের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর সীমান্ত থাকায় অনেকে এ দেশটি হয়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে চান। তুরস্কের কারাগারে এমন বহু বাংলাদেশি আটক রয়েছেন। এভাবে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
বাংলানিউজসিএ/ঢাকা/ ১ মে ২০১৯/ এমএম