বাংলানিউজসিএ ডেস্ক ::কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা। আবেদনেই বাছাই করার প্রক্রিয়ায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মধ্যে।সমন্বিতভাবে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে। তবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৭৪ হাজার ৪৫৬ শিক্ষার্থী আবেদন করলেও পরীক্ষা দিতে পারবে ৩৫ হাজার ৫৫০ শিক্ষার্থী। বাদ পড়েছে ৩৮ হাজার ৯৯৬ জন।
বাছাই করা হয়েছে জিপিএর ভিত্তিতে। এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ন্যূনতম যাদের ৯.১৫ (চতুর্থ বিষয় বাদে) রয়েছে শুধু তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। যারা পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়নি তাদের আবেদন ফি বাবদ নেয়া এক হাজার টাকা ফেরত দেয়া হবে না।প্রাথমিক আবেদন এর জন্য যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০-১০০ টাকা নেয়া হয় সেখানে এক হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। বাদ পড়া ৩৮ হাজার ৯০৬ জনের টাকার হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার টাকা।
যারা পরীক্ষা দিতেই পারবে না অথচ তাদের থেকে এত টাকা নেয়া হল কেন এবং জিপিএ যদি ৯.১৫ পর্যন্তই নেয় তাহলে ৭ পয়েন্ট হলেই আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল কেন তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।এছাড়াও ৭টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু এবার একসঙ্গে পরীক্ষা নিচ্ছে সেহেতু সিলেকশন রেঞ্জ অনেক কম।উজম চাকমা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, যারা কৃষি কাজ করে, অন্যের বাসায় কাজ করে ১ হাজার টাকা আয় করে তারা বোঝে এ ১ হাজার টাকা কত কষ্ট করে আসে।
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ অবশ্যই ভালো কিন্তু যোগ্যতা ৭ দিয়ে আবেদনের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ শুধু ৯.১৫ পয়েন্ট ধারীদের দেয়া প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।এক শিক্ষক জানান, অনেক গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের আর্থিক অনটন কিংবা পারিবারিক কোনো সমস্যার কারণে এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল ৯.১৫-এর কম অথচ ৯.১৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর তুলনায় অধিক মেধাবী ও যোগ্য।
কিন্তু এ বাছাই প্রক্রিয়ায় অনেকেই যোগ্য হলেও তাদের বিকশিত হওয়ার পথ আগেই বন্ধ করে দেয়া হল।ভর্তিতে যারা অংশ নিতে পারবে না তাহলে তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া উচিত বলে মনে করেন সমন্বি^ত সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষক।তারা মনে করেন, অনেক রিকশাচালক, দিনমজুরের সন্তান রয়েছে যারা অনেক কষ্টে আবেদনের টাকা জোগাড় করে আবেদন করেছিল।
বিতর্কিত সিস্টেমের কারণে তারা তো অংশ নিতে পারবেই না আবার তাদের কাছ থেকে নেয়া আবেদনের টাকাও ফেরত দেয়া হবে না।আবেদনের টাকা ফেরত দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জানান, আমরা সব সময় শিক্ষার্থীবান্ধব চিন্তাভাবনা করে থাকি।তাদের সুবিধার কথা ভেবেই আমরা সমন্বিত পরীক্ষা নিচ্ছি। তবে টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কত ম্যানপাওয়ার লেগেছে, কি পরিমাণ খরচ হবে সে অনুযায়ী পরীক্ষার পরে সিদ্ধান্ত আমরা নেব।
বাংলা নিউজসিএ/২১/ অক্টোবর ২০১৯ /এসএম