প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধনসহ তিন দাবিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আগে তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।অন্য দুটি দাবি হলো- ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানকে টেকনিক্যাল ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।
দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ও কমপ্লিট শাটডাউনের ব্যানার ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন। এ সময় তারা ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানব না’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, বৈষম্য নো মোর’, ‘সাইকোলজির আধিপত্য, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ফারহানা জেবিন (লিজা) বলেন, ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের জন্য আমাদের ঢাকায় অবস্থান করতে হয়। আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য ঢাকায় গিয়ে নিজেদের খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে যদি ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু করা হয় তাহলে আমাদের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে। বিভাগ প্রতিষ্ঠার দশ বছর হয়ে গেলেও এখনো এসব নিয়ে কোনো দৃষ্টিগোচর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে একই বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সুমন আলী বলেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল যে শুধুমাত্র চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ও মাস্টার্স করা শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন। তবে বিভিন্ন কারণে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ২০২৫ সালে প্রকাশিত শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়; কিন্তু কিছুদিন আগে মনোবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হলে, সেখানে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভাগের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক এনামুল হক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। তিনি এ পদে আসার পর বিভাগের পূর্ববর্তী শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারের শর্ত পরিবর্তন করেছেন। তারা ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে শাটডাউন চলবে।এ ব্যাপারে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. এনামুল হককে মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২২ অক্টোবর ২০২৫ /এমএম





