Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: সফল ব্যক্তিরা যে কেবল দিনভর কাজ করেন, তা কিন্তু নয়। তারা সময়মতো ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে ওঠেনও খুব সকালে। তাদের অধিকাংশেরই দিন শুরু হয় সকাল ৮টার আগে। দিন শুরু করার জন্য তারা এমন কিছু অভ্যাস গড়ে তোলেন, যা তাদের সারাদিনটা কেমন যাবে তা নির্ধারণ করে দেয়।সফল হতে হলে এমন কিছু অভ্যাসের চর্চা করা উচিত আপনারও।

ভোরে ঘুম থেকে ওঠা

অ্যাপলের সিইও টিম কুক ও ওপরা উইনফ্রের মতো সফল ব্যক্তিরা সূর্য ওঠার আগেই দিন শুরু করেন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি ঠিক রাখে, ঘুমের মান উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়।

মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকা

ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে যাওয়ার পরিবর্তে, কর্মক্ষম ব্যক্তিরা দিনের প্রথম ঘণ্টাটিতে ‘ডিজিটাল ডিটক্স’ নেন। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ- এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ফোন দেখা কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) বাড়িয়ে দেয় এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা

বারাক ওবামার নিয়মিত ওয়ার্কআউট হোক বা রিচার্ড ব্র্যানসনের সকালবেলার সাঁতার—শারীরিক ব্যায়াম সফল ব্যক্তিদের অপরিহার্য অভ্যাস। এমনকি ১৫ মিনিটের স্ট্রেচিং বা হাঁটাও রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, এন্ডরফিন নিঃসরণ করে এবং দিনের বাকি সময় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

মননচর্চা করা

লিংকডইনের সিইও জেফ ওয়েইনার ও আরিয়ানা হাফিংটন মাইন্ডফুলনেস বা মননচর্চায় বিশ্বাসী। প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটের ধ্যান বা কৃতজ্ঞতার চর্চা মানসিক বিশৃঙ্খলা দূর করে এবং আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়—যা কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপরিহার্য।

পুষ্টিকর নাশতা খাওয়া

সফল ব্যক্তিরা সকালের নাশতাকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসেবে দেখেন, যা সারাদিনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। গোটা শস্য, ফলমূল এবং ডিম বা দইয়ের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার সারাদিনের জন্য টেকসই শক্তি দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর মতে, ভারসাম্যপূর্ণ প্রাতঃরাশ মানসিক কার্যক্ষমতা ও মনোযোগ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে।

লক্ষ্য স্থির করা

ই-মেইল বা মিটিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে সফল ব্যক্তিরা তাদের দৈনিক লক্ষ্য পর্যালোচনা করেন। এতে তারা ‘জরুরি’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কাজের পার্থক্য বুঝতে পারেন। নোটপ্যাড বা ডায়েরি তাদের কাজের অগ্রাধিকার ঠিক রাখতে সাহায্য করতে পারে।

সফলতার চিত্র কল্পনা করা

বিশ্বের সবচেয়ে কর্মক্ষম মানুষরা প্রায়ই দিন শুরু করেন সফলতার চিত্র কল্পনা করে। লক্ষ্য বা আত্মপ্রেরণামূলক বাক্য লিখে রাখা মানসিক স্বচ্ছতা ও উদ্দীপনা জোগায়। এই কল্পনা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, যা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শান্ত ও দক্ষ থাকতে সাহায্য করে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ১২ অক্টোবর  ২০২৫ /এমএম


Array