Menu

প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক ::   তীব্র গরমে একটু প্রশান্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই এসি কিনে থাকেন। আপনিও কি কিনতে চাইছেন? কোন ব্র্যান্ডের বা কেমন এসি কিনবেন-এখনো বুঝে উঠতে পারেননি? তাহলে কয়েকটি বিষয় আপনার জেনে রাখা জরুরি।

১. কোন ব্র্যান্ডের এসি কিনবেন, সেটা হিসাবনিকাশ করে আপনাকেই বের করতে হবে। দেশি বা বিদেশি যে কোনো ব্র্যান্ডই ভালো হতে পারে। এজন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

* কোম্পানি/ব্র্যান্ডের রিভিউ ও সুনামের দিকে অবশ্যই খেয়াল করবেন। মনে রাখবেন, যদি ভালো সার্ভিস দেওয়া কোম্পানি থেকে এসি না কিনে থাকেন, তাহলে পরে প্রচুর বাড়তি খরচের শঙ্কা রয়েছে।

* যে কোম্পানির এসি কিনবেন, সেই কোম্পানির সার্ভিস সেন্টার আপনার শহরে আছে কি না, সেটা দেখে নিন। যদি না থাকে তবে ভবিষ্যতে এসি নষ্ট হলে আপনি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হবেন।

* কোম্পানির ‘আফটার সেলস সার্ভিস’ অবশ্যই দেখতে হবে। এসি কেনার পর যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয় তবে সেটি সমাধান করতে কোম্পানি কতটুকু কাজ করবে, সেটা জেনে নিন।

২. এসি কেনার আগে ঠিক করুন স্প্লিট নাকি উইন্ডো এসি কিনবেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, উইন্ডো এসি কী আর স্প্লিট এসি কী? মূলত স্প্লিট এসিতে কম্প্রেসার ঘরের বাইরে থাকে বলে মেশিনের আওয়াজ শোনা যায় না। কিন্তু সমস্যা হলো, স্প্লিট এসির কম্প্রেসার বসানোর জন্য ঘরের দেওয়াল ভাঙতে হয়। দেওয়াল ভাঙা নিয়ে যদি আপনার কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে নিতে পারেন স্প্লিট এসি। অন্যদিকে উইন্ডো এসি লাগাতে গেলে একটা জানালা বন্ধ হয়ে যায়, আর এসি বন্ধ থাকলে ঘরে আলো-বাতাস ঢোকার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

ঘরের আকার যদি বড় হয় কিংবা ঘরে যদি কোনো জানালা না থাকে তবে স্প্লিট এসি কিনতে হবে। মূলত বসার ঘর কিংবা অফিসের বড় রুমে ব্যবহারের জন্য স্প্লিট এসি কেনা হয়। অবশ্য উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে অনেক কম।

৩. এসি কেনার আগে ঘরের আয়তন কত, ঘরে অবস্থান কোথায়, কোন ফ্লোরে, দেওয়ালে রোদ পড়ে কি না প্রভৃতি নিয়ে হিসাবনিকাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে এসি প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট বা ইন্টারনেট থেকে ধারণা নিতে পারেন। ঘরের আয়তন সর্বোচ্চ ১৪০ স্কয়ার ফুট হলে এক টন ক্ষমতাসম্পন্ন এসি কিনলেই চলবে। তবে ঘরের আকার যদি ১৪০ থেকে ১৯৬ স্কয়ার ফুটের মধ্যে হয় তবে দেড় টন কার্যক্ষমতার এসি কিনতে হবে।

৪. এসি ব্যবহারে বিদ্যুৎ খরচ একটি বড় বিষয়। অবশ্যই চেষ্টা করবেন ইনভার্টারসহ কিনতে। ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার সবসময় প্রয়োজনমতো ক্যাপাসিটিতে কমে, ঘরকে ঠান্ডা রাখে। যেহেতু এই এসির কম্প্রেসার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে, তাই সাধারণ এসি থেকে এই এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশ কম।

৫. ব্লোয়ার ফ্যান এসির একটি অপরিহার্য উপাদান, যা আপনার বাড়িতে বাতাস ছড়িয়ে দেয়। যত বড় ব্লোয়ার ফ্যান, তত বেশি বাতাস পাওয়া যায়। কনডেন্সার কয়েল হলো আরেকটি উপাদান, যা ঠান্ডা করার গতি বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এসি এমন হওয়া উচিত যাতে কনডেন্সার কয়েলগুলো তাপ বিনিময় করতে পারে এবং এর মাঝে ক্ষয়রোধী বৈশিষ্ট্য থাকে। ক্যাপাসিটর আরেকটি মূল উপাদান, যা সার্কিট ফেইল কিংবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে আগুন লাগা থেকে বাঁচায়।

একটা দামি জিনিস যখন কিনবেন, তখন যাচাই-বাছাই করুন। হুজুগে কিনে ফেলবেন না। কোম্পানিগুলোর মার্কেটিং দেখে ভুল জিনিস কিনে মাথাটা আরও গরম করার দরকার নেই। তাহলেই কেবল তীব্র গরমে স্বস্তিতে থাকতে পারবেন।

প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৮ এপ্রিল ২০২৫ /এমএম