প্রবাস বাংলা ভয়েস ডেস্ক :: আর কিছুদিন পরই গ্রীষ্মকাল। এ সময় বাজারে আমের ঘ্রাণ পাওয়া যাবে। আমের লোভ সামলাতে পারে এমন মানুষ পাওয়া কঠিন ব্যাপার। আম অনেক জাতের হয়ে থাকে। প্রতিটি জাতের আমের রয়েছে অনন্য স্বাদ ও গন্ধ। ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাওয়া নিয়ে বেশ দ্বিধায় থাকে।ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা আম চিনির মাত্রা বাড়ায় না। তবে পাকা আম চিনির মাত্রা বাড়ায়। বিশেষ করে যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে। তবে কিছু নিয়ম মেনে খেলে তা আর ক্ষতি করে না।
গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজসহ আমে স্বাভাবিক শর্করা প্রচুর। পাশাপাশি আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, মাত্র ৫১। ফলে আম খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত মেশে না বা বৃদ্ধি পায় না।পুষ্টিবিদ অনুপমা মেননের মতে, ব্লাড সুগারে আম খেলে তার পুষ্টিগুণ পুরোটাই বিফলে যায় না। মধুমেহ রোগ থাকলেও ডায়েটে আম রাখাই যায়। তবে মধুমেহ রোগে আম সব সময় আস্ত খেতে হবে। রস করে খেলে হবে না। রস তৈরি করলে ফাইবারসুলভ বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়ে যাবে।
আমের সঙ্গে কিছু দানা বা বীজ বা বাদামজাতীয় খাবার খেতে হবে ব্লাড সুগারের রোগীদের। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না দ্রুত। লাঞ্চ, ডিনারের আগে বা পরে বা সঙ্গে আম খাবেন না ব্লাড সুগারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়বে।ডায়াবেটিকরা একসঙ্গে দু’ টুকরোর বেশি আম খাবেন না। সপ্তাহে ১ বা ২ দিন আম খান। রোজ খাবেন না। ব্লাড সুগারে প্রাতরাশের সঙ্গে আম খান। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। দিনের সময় যত এগোবে, তত আম খাওয়া এড়াতে হবে মধুমেহ রোগীদের।
প্রবাস বাংলা ভয়েস /ঢাকা/ ২৩ এপ্রিল ২০২৫ /এমএম